#বইয়ের নামপ্রকাশকালপৃষ্ঠাসংখ্যাপ্রকাশনা
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে২০২৩৪৩২নালন্দা
এইখানে জাদুঘর পাতা আমাদের২০২২ ৫৬০বাতিঘর প্রকাশনী
২০২৩ভারতে প্রথম প্রকাশঅভিযান পাবলিশার্স
জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে২০২০৪৪৮বাতিঘর প্রকাশনী
  ২০২২ভারতে প্রথম প্রকাশঅভিযান পাবলিশার্স
ছারপোকা : দ্য ব্যাটল অফ মাহেন্দ্রপুর২০১৯৪৩২বাতিঘর প্রকাশনী
  ২০২০ভারতে প্রথম প্রকাশঅভিযান পাবলিশার্স
যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল২০১৮৪৪৮বাতিঘর প্রকাশনী
  ২০২২ভারতে প্রথম প্রকাশঅভিযান পাবলিশার্স
যে রাতে কাক ডেকেছিল২০২০১৯২ভূমিপ্রকাশ
যুগলবন্দি২০২১১৬০বাতিঘর প্রকাশনী
মায়াবনবিহারিণী হরিণী২০২১১৬০অবসর প্রকাশনা সংস্থা
ডিসটোপিয়া২০২২১৬০বাতিঘর প্রকাশনী
১০মৃগতৃষা২০১৭৩৬৮বাতিঘর প্রকাশনী
  ২০২২ভারতে প্রথম প্রকাশঅভিযান পাবলিশার্স
১১মিথস্ক্রিয়া২০১৬৩৫২বাতিঘর প্রকাশনী
  ২০২২ অভিযান পাবলিশার্স
১২চাহিদারা হন্যে২০২১১৪৪সতীর্থ প্রকাশনা
১৩আগুনের দিন শেষ হয়নি২০১৬১১২হৃদিপ্রকাশ
     
  অনুবাদ(ননফিকশন) 
১৪দ্য পাওয়ার অব হ্যাবিট • চার্লস ডুহিগ২০১৯৩০২নালন্দা
১৫হিট রিফ্রেশ • সত্য নাদেলা২০১৯২০০নালন্দা
দ্য ওয়ান মিনিট ম্যানেজার২০১৯৮৮নালন্দা
     
  অনুবাদ  
১৭ফলেন • মূল: ক্যারিন স্লটার২০১৭৩৮৪বাতিঘর প্রকাশনী
হিট ওয়েভ২০১৬২৪০বাতিঘর প্রকাশনী
অরফান এক্স২০১৬৩৩০বাতিঘর প্রকাশনী
২০দি গার্ল অন দ্য ট্রেন২০১৬২৮৬বাতিঘর প্রকাশনী
২১জয়ল্যান্ড২০১৫২৭২আদি প্রকাশন
২২ভেলোসিটি২০১৫২৫৬আদি প্রকাশন
  অপ্রকাশিত  
২৩পেশেন্ট জিরো • জোনাথন ম্যাবেরি ১,০৫,০২১ শব্দআদি প্রকাশন
২৪লা*****ন ১,০৭,৮৪৩ শব্দবাতিঘর প্রকাশনী
আ******ফ ৭০,০৮৬ শব্দবাতিঘর প্রকাশনী
    
প্রকাশিত বইসমূহ

মৌলিক | ২০১৬-২০২২

১। মিথস্ক্রিয়া

খ্যাতনামা এক বাংলাদেশি বিজ্ঞানীকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো। ডাক পড়লো ডিটেক্টিভ আসিফ আহমেদ ও তার দলের। অনিশ্চয়তার সঙ্গে যুক্ত হলো একটি কিডন্যাপ কেস। তদন্ত শুরু হতেই খুব দ্রুত পাল্টে গেলো ঘটনা প্রবাহ…

রসায়ন থেকে অ্যালকেমি, খ্রিস্টের জন্মের চার হাজার বছর আগ থেকে বর্তমান বাংলাদেশে-কল্পনাতীতভাবে বিস্তৃত এই রহস্যের সমাধান লুকিয়ে আছে সামনে থাকা তথ্যগুলোর এক এবং কেবল একটিমাত্র অংশে। সেটাই খুঁজে বের করতে হবে। স্বভাবতই এলো বিপত্তি। সার্বক্ষণিক বাধা আসছে অদৃশ্য কোন গুপ্তসঙ্ঘের ইশারায়। প্রধান সাসপেক্টকে হাতের নাগালে পেয়েও কেসটার মিমংসা করা গেলো না।

প্রতিঘণ্টায় কাহিনীর মোড় ঘুরে যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের চোখের সামনে থাকা সত্যটা খুঁজে বের করতে গিয়েও গলদঘর্ম হয়ে উঠলো ডিটেক্টিভ।

কিন্তু কারও ধারণাও নেই, সত্যটা কাঁপিয়ে দিতে পারে গোটা বাংলাদেশকে।

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৫২ | মুদ্রিত মূল্য ৩২০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২২৪ টাকায়)

২। মৃগতৃষা
বারো বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক মাফিয়া সর্দারের নাম ঢাকার রাস্তায় আবারও শোনা যাচ্ছে। এক যুগ ধরে মৃত, কাঠিন্য আর কোমলতার মিশ্রণে ভয়ঙ্কর সেই মানুষটি যেন পুণরুত্থিত হয়েছে! কাজেই, ঘটতে শুরু করলো ঘটনা।

নিরেট নিখুঁত ভদ্রলোক, তুখোড় মেধাবি ছাত্র তাহের একটার পর একটা মিথ্যে বলতে শুরু করলো। উদ্ভিন্ন যৌবনা, প্রকৌশলী নিশির জীবনটা ওলট-পালট হতে সময় লাগলো মোটে এক সপ্তাহ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের ঝামেলায় খুন হয়ে গেল পাড়ার মাস্তান। ঢাকার অন্ধকার গলিতে ঘুরে বেড়ানো আততায়ীকে বার বার বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হলো। আলোড়ন উঠলো মাঝারি ব্যবসায়িদের মহলে। সদ্য কৈশোর পেরুনো অপূর্ব সুন্দরি তরুণী নাভার ওপর কেউ একজন চোখ রাখতে শুরু করলো।

আপাতদৃষ্টিতে ঘটনাচক্রগুলো কি আসলেই বিচ্ছিন্ন? এক সময় যাদের হাতে অস্ত্র ছিল তারা নিজেদেরকে ক্ষমতাবান ভাবতো, তবে আজকের পৃথিবীতে যার কাছে তথ্য তার হাতেই সর্বময় ক্ষমতা!

গডফাদার আলমাস। স্ট্রাইকার। সিন্ডিকেট। এলাকার টপটেরর। রাজনৈতিক নেতা। তথ্যবিক্রেতা। মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব। ডিটেক্টিভ মুক্তার আর প্রকৌশলী ছাত্র তাহের। অনেকগুলো পক্ষ। কিন্তু এদেরই একজন বন্দুক নয় শুধুমাত্র মগজ আর তথ্য ব্যবহার করে শহরটার ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে চলেছে । কে, কেন এবং কিভাবে-তার উত্তর মিলবে উপন্যাসটিতে। তথ্যের মারপ্যাঁচে সৃষ্টি হতে চলেছে এক আনকোড়া-অন্ধকার মাফিয়া জগত। পাঠককে সে জগতে সুস্বাগতম।

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৬৮ | মুদ্রিত মূল্য ৩৫০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২৪৫ টাকায়)

৩। আগুনের দিন শেষ হয়নি

১৯৭১।

রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সেলিম। ২৫শে মার্চের রাত তার জীবনটা ওলোট-পালোট করে দিলো একেবারে। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় অতি অল্প সময়ে পথ করে নিলো সমরক্ষেত্রে।

পাকিস্তানের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক জহির রায়হান। বাঙালি জাতির পরিচয় তছনছ করে দেওয়া সেই রাতের পর পথে নামলেন তিনি। গন্তব্য? ভারত। উদ্দেশ্য? স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ নিয়ে আসা। জহির রায়হান জানেন, সে দক্ষতা তাঁর আছে।

একজন যুদ্ধ করে গেলেন শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে, চাক্ষুস শত্রুর সঙ্গে। অপরজন লড়ে গেলেন এক অন্যরকম যুদ্ধ। মিডিয়া ওয়ার। এ লড়াইয়ের দাবীতেই যুদ্ধরত বাংলাদেশের কিছু মুখোশধারী শত্রুর বিরুদ্ধে কাজ করে গেলেন নিরলস।

১৯৭২।

দুইজন অকুতোভয় দেশপ্রেমিকের পথ একটা সময় ছেদ করলো।

স্বাধীন বাংলায় দাঁড়িয়ে একত্রে কাজ করতে শুরু করলেন তাঁরা।

কিন্তু তাঁরা কি জানতেন, আগুনের দিন তখনও শেষ হয়নি?

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের দুইজন শহীদ সূর্যসন্তানের জীবনের বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসিকা, “আগুনের দিন শেষ হয়নি”।

পৃষ্ঠাসংখ্যা ১১২ | মুদ্রিত মূল্য ১২০৳

(আউট অফ প্রিন্ট)

৪। যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল

মুহিব ভেবেছিলো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

প্রেমিকা, পরিবার, বন্ধু এবং বান্ধবীদের নিয়ে উনিশ বছরের সুখী জীবন। প্রশাসনের দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যেও জীবনটা মানিয়ে নিতে শুরু করেছিলো যখন, একটি ক্যাম্পাস মার্ডার পাল্টে দিলো সবকিছু।

পরিবেশটিকে আরও জটিল করে তুলতেই যেনো যোগ দিলেন একজন ক্যালটেক ফেরত শিক্ষক, ভদ্রলোকের বাম হাতটা কনুইয়ের নিচ থেকে কাটা কেনো?

ছাত্রনেতারা রাজনীতির নামে কোন অন্ধকার জগতে পা বাড়িয়েছে?

এই কেসে কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রহটা ঠিক কোথায়?

পুলিশ এবং প্রশাসনের নীরবতার কারণ কি?

আন্দোলনরত শিক্ষার্থিদের ক্ষোভের উৎপত্তিস্হল কোনটি?

একটা খুন ওলোট পালোট করে দিলো বিশ্ববিদ্যালয়টির গতিপথ। পাল্টে দিলো মানুষগুলোকে।

“যে হীরকখণ্ডে ঘুমিয়ে কুকুরদল” সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্ধকার জগতের চিত্রায়ন।

কৌতূহলের কাছে সতর্কতার হার মেনে যাওয়া মানব চরিত্রের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এ এক হার মেনে নেওয়া উপাখ্যান। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সাধারণদের না পেরে ওঠার গল্প। তারুণ্যের শক্তি – আদর্শের লড়াই আর মতবাদের সংঘর্ষ। অধিকার আদায়ে বেপরোয়া চিরায়ত বাঙালি ছাত্রদের স্তবগান। সাধারণ এক ছাত্রের জীবন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঁধারস্পর্শে ধীরে ধীরে পাল্টে যাওয়ার ক্রমবর্ণনা।

মুহিব জানে সে আর পিছিয়ে আসতে পারবে না।

পড়াশোনা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আসা ছেলেমেয়েগুলো কোন পরিস্হিতিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় টের পেলো হাড়ে হাড়ে!

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪৪৮ | মুদ্রিত মূল্য ৪৫০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ৩১৫ টাকায়)

৫। ছারপোকা : দ্য ব্যাটল অফ মাহেন্দ্রপুর
খুন হয়ে গেল ছদ্মনামে লেখালেখি করা জনৈক ‘নাস্তিক’ ব্লগার। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ আসিফ আহমেদ সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে নেমে পড়লো মাঠে। কল্পনাও করতে পারেনি কাদের বিরুদ্ধে লাগতে যাচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আসিফের পছন্দ নয়। অথচ ভবিতব্য এড়াতে পারলো কই? প্রাণ বাঁচাতে ট্রিগার চাপতে বাধ্য হলো দুঁদে গোয়েন্দা।

একুশ বছরের একটা মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। নিরুপায় বাবা শরণাপন্ন হলেন উঠতি এক প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের। জোহান লস্কর যখন কেসটা নিলো, ব্যক্তিগত জীবনেও চলছে টানপোড়ন। কাঞ্চনপুরে পা রাখতেই শুনতে হলো হুমকি, “সময় থাকতে চইলা যান। পরে জান লইয়া ভাগতে পারতেন না।”

একাত্তরে অসমসাহসী যুদ্ধ করেছে টাইগারবাহিনী। কিন্তু রাজাকার হায়দারের সাথে মুক্তিযোদ্ধা কিবরিয়ার দহরম মহরম হয় কি করে? পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে চিত্রপটে এলো মুরং ওঝা, রহস্যময় আশ্রয়দাতা হাজীসাহেব, নিটোল সৌন্দর্যের অধিকারিণী সুমি।

একাত্তরে কাঞ্চনপুরে কি ঘটেছিলো যার জের টেনে আজকের দিনেও প্রাণভয়ে ছুটে পালাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাধারণ ছাত্রকে? ক্যামেরা নিয়ে মাঠে নামলো ‘ছিঁচকে’ রিপোর্টার জন। পেছনে লাগলো নির্মম, চৌকস এক সংগঠন। পড়তে শুরু করলো লাশ!

দেশবাসীর চোখ তখন আটকে আছে মাহেন্দ্রপুরের মহাযুদ্ধে।

মাত্র ছয়জন যোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে স্রেফ প্রখর বুদ্ধিমত্তা সঙ্গী করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আস্ত এক কোম্পানি সৈন্যের বিরুদ্ধে অসম লড়াইয়ে নামলো টাইগার। দিনশেষে বুঝতে পারলো, ষড়রিপুর বিরুদ্ধে যুদ্ধটা বন্দুকযুদ্ধের চেয়েও অনেক, অনেক বেশি কঠিন।

মুষ্টিমেয় কিছু সিভিলিয়ান শক্তভাবে দাঁড়ালো প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।

“ছারপোকা : দ্য ব্যাটল অফ মাহেন্দ্রপুর” বইটি খুলতে যাচ্ছে এমন এক অধ্যায় যা বাংলাদেশে স্মরণ করা নিষিদ্ধ হয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধকে পণ্য বানানোর পর থেকে।

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪৩২ | মুদ্রিত মূল্য ৫০০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ৩৭৫ টাকায়)

বইটির ভারতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে, অভিযান পাবলিশার্স থেকে…

৬। জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে
বাংলাদেশের অনিয়ম আর অবিচারের সমাজ বদলে দেওয়ার জন্য নানা মুনির আছে নানা মত। কেউ মনে করেন গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ জনগণকে এ থেকে মুক্তি দেবে, কেউ ভাবেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রই একমাত্র সমাধান। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্র মনে করলো ভিন্ন কিছু। তাদের বিশ্বাস, নষ্ট হয়ে যাওয়া সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস করেই গড়ে তুলতে হয় নতুন কিছু। দেশ যখন উত্তাল নানা চেতনার ফেরিওয়ালাদের তর্জনীর ইশারায় অথবা বিশ্বাসে অন্ধ মেজরিটির অঙুলিহেলনে, ওরা বেছে নিলো সম্পূর্ণ নতুন পথ। গড়ে তুললো গুপ্তসঙ্ঘ জাদুঘর।

সিস্টেমকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য হাত নোংরা করতে হয়। হাত ওরা নোংরা করলোও। রক্ত ঝরলো।
অপবিত্র রক্ত!

রাজধানীর দেওয়ালে লেখা হলো বিখ্যাত শিশুতোষ ছড়ার বিকৃতরূপ।
জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে
রক্তের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে…!

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৪৪৮ | মুদ্রিত মূল্য ৫০০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ৩৫০ টাকায়)

৭। চাহিদারা হন্যে

গল্পটা একজন সাইকোপ্যাথের৷
নির্দিষ্ট সময় পর পর দুজন মানুষের গলা কেটে খুন না করতে পারলে যার ভাল লাগে না ৷তার অতখানিই চাহিদা৷অথচ এই চাহিদাটা বড়ই শক্তিশালী ৷ইংরেজিতে যাকে বলে আর্জ৷
গতানুগতিক কোন সাইকো থ্রিলার নয় এটি৷পাঠককে বাড়তি আতঙ্কিত করার চেষ্টাও নেই৷
তবে গতি আছে৷বেশ কিছু অসমাপ্ত গল্পের মেলা আছে৷ইঁদুর-বেড়াল খেলা আছে৷সাদামাটা একটা বর্ননায় একজন সাইকোপ্যাথের সাথে কয়েকদিন আপনিও ঘুরে আসতে পারেন তার জগত থেকে৷
এমন মানুষগুলো তো আমাদের অপরিচিত নন৷আপনারই খুব চেনা কেউ হতে পারেন সাইকোপ্যাথ৷অথচ এত চেনা হয়েও তারা রয়ে যান অচেনা ৷
অবলীলায় নরহত্যা করতে পারেন৷কীভাবে?
জানতে হলে পড়তে হবে যে বইটা একবার৷

পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৪৪ | মুদ্রিত মূল্য ২৫০ ৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ১৯০ টাকায়)

৮। যে রাতে কাক ডেকেছিল

জহির রায়হানের সঙ্গে ঘুরে আসা যাক মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ দিনগুলো থেকে। বড়োভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে গিয়ে ৩০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। এদিকে রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র লেফটেন্যান্ট সেলিমের যাত্রাটাও কম রোমাঞ্চকর নয়! এক পর্যায়ে এসে এই দুই অকুতোভয় সূর্যসন্তানের পথ এক রেখায় মিলল। তারপর?

তারপর এলো ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭২। স্বাধীন বাংলার মাটিতে বর্তমান মিরপুর ১২ ও পল্লবী এলাকার তুমুল যুদ্ধ!
লেখকের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসিকা “আগুনের দিন শেষ হয়নি” পাঠককে নিয়ে যাবে আমাদের জন্ম-ইতিহাসের গা শিওরানো এক গলিতে।
“হাতে বন্দুক থাকলে সব এক, কী পাঞ্জাবি, কী মুক্তিযোদ্ধা।” চায়ের দোকানদার চাচা নতমুখে জানালেন হাসিবকে। সদ্যই ভারতের শরণার্থী শিবির থেকে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে পা রেখেছে তরুণ বাঙালি। এসে দেখল অত্যাচার শেষ হয়নি। আগে করেছে পাঞ্জাবি। এখন করছে বাঙালি। দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার চলছেই। স্বপ্নের মুক্তিযুদ্ধ মানুষকে রক্ষা করতে পারেনি। এই অস্থির সময়েই একটা হিন্দু মেয়ের প্রেমে আকণ্ঠ ডুবে গেল হাসিব।

‘স্বাধীন বঙ্গে একদিন’ গল্পটি পাঠককে ঘুরিয়ে আনবে ইতিহাস ও বাস্তবতার এক সাররিয়েল জগত থেকে।

ইপুয়েটের ছাত্র রাশেদ মনে প্রাণে পাকিস্তানের সমর্থক। ‘ভারতের দালাল’ হিন্দুগুলো যখন ঢাকায় যুদ্ধ লাগিয়ে দিলো, এক পাঞ্জাবি বন্ধুকে নিয়ে নিরাপত্তার খোঁজে গ্রামে পালিয়ে এলো সে। চাচাজান সাচ্চা ইমানদার, পাকিস্তান বলতে অজ্ঞান। শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান। মেধাবী রাশেদ যোগ দিলো রাজাকারবাহিনীতে। তার মতো ব্রাইট ছেলেরা পাকিস্তানের সেবা না করলে চলবে কেন? এরপরই ঘটতে শুরু করল নাটকীয় সব ঘটনা।
‘স্বাধীনতা আমি’ গল্পটিতে আপনারা দেখতে পাবেন অপরপক্ষের গল্পটা, বাঙালি হিসেবে যার চর্চা আমরা করি না সচরাচর। পাকিস্তানপন্থীদের গল্প।

বান্ধবীর সাথে খালি বাসায় প্রেম করা ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়সালের আর কোনো দুরভিসন্ধী ছিল না সেদিন। তারপর উর্দু কবি আহমদ ইলিয়াস থেকে শুরু করে হেলাল হাফিজ ভাই, ঢাকা মেডিকেলের গেটে রাতের খাবার খাওয়া কিংবা তাস পেটানো, এই তো জীবন! কিন্তু দিনটির তারিখটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। দিনটি ছিল ২৫ মার্চ, ১৯৭১। সন্ধ্যা ঘনিয়ে নেমে এলো রাত। ঢাকার ইতিহাসে একমাত্র রাত, যে রাতে কাক ডেকেছিল।
‘যে রাতে কাক ডেকেছিল’ গল্পটি এমন এক চোখ থেকে ২৫ মার্চের রাতকে দেখা, যেভাবে সচরাচর আমরা দেখে অভ্যস্ত নই। গল্পটির প্রায় প্রতিটি বাক্যেই অন্তর্নিহিত আছে তৎকালীন সময়, যদিও খালি চোখে মনে হবে এ যেন আমাদের এই ২০২০-এর আরেকটি দিন। প্রথম পাঠের পর পাঠক চাইলে গুগল ও ইতিহাসের বই নিয়ে পরে আবারও পূণর্পাঠ করতে পারেন এই গল্পটিকে।

এছাড়া বইটিতে আছে ‘অ্যাসেট’ ও ‘লাল মাটি’ নামে আরো দুটো চমৎকার গল্প!
পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৯২ | মুদ্রিত মূল্য ২৭০ ৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২০০ টাকায়)

৯। মায়াবনবিহারিণী হরিণী

মেঘনার তীরে ছোট্ট এক কলোনি থেকে আলোচিত তিন সুন্দরীর একজন গায়েব হয়ে গেল। তরুণ ডাক্তার মিঠুনের বিশ্বাস মেয়েটি কলোনি থেকে বের হয়নি। পুলিশের ধারণা অন্য রকম। তাদের চোখ বাইরে। অগত্যা ডাক্তারি ছেড়ে ফেলুদার ভূমিকায় নামল মিথুন।
নিখোঁজ চৈতীর বান্ধবীরা মিথ্যা বলছে পুলিশকে।
কেন?
জল ঘোলা হচ্ছে বদ্ধ হাউসিং সিস্টেমের রক্ষণশীল পরিবেশে। চরিত্রের মধ্যে যেমন আছে মাথা গরম তরুণ ক্রিকেট সেন্সেশন রাহাত রহমান – কয়েকবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও নিজেকে যোগ্য প্রমাণে ব্যর্থ,তবে কলোনির গর্ব। তেমনি আছেন ডায়াগনসিসের ঈশ্বর ডাক্তার শাহনেওয়াজ, নীতিতে অটল গণিতের শিক্ষক, সন্তান হারিয়েও বরফের মত ঠান্ডা মাথার একজন পিতা, মাঝবয়েসী ফ্রাস্টেটেড আঙ্কেল সমাজ এবং বলাই বাহুল্য, পিছিয়ে নেই পাশের বাসার আন্টিরাও।
রক্ষণশীল সমাজের মারপ্যাঁচে চৈতীর কি হলো?
পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৬০ | মুদ্রিত মূল্য ৩০০ ৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২৫৫ টাকায়)

১০। যুগলবন্দি

বন্ধুদের সাথে ঈদের পরের দিন পাঞ্জাবি পরে আড্ডা দিচ্ছিলো রুমি। গার্গী শাড়ি পরে সেজেগুজে গিয়েছিলো বান্ধবীর বিয়েতে। কেন হুট করে একটা গাড়িতে করে দেশের একেবারে প্রান্তে যাত্রা শুরু করলো ওরা? ছেলেটার গ্লোভ কম্পার্টমেন্টে একটা সিগ-সয়্যার হ্যান্ডগান কেন, মেয়েটার সুদৃশ্য হ্যান্ডব্যাগে কেন পোরা একটা বেরেটা অটেমেটিক? আজকের দিনের আগে ওরা তো একজন আরেকজনকে চিনতোও না! কিসের মাঝে হাজির হলো ওরা? এ কী অদ্ভুত নাটক শুরু হয়েছে, যাতে লৌকিক আর অলৌকিক মেতে উঠেছে তুমুল এক যুদ্ধে?

ওদিকে কঙ্গোয় চলছে ভিন্ন নাটক। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গোর মুক্তিকামী বাহিনীর মিশন ঠিকঠাক-ই চলছিল, যতদিন না ক্যাম্পে আতিথেয়তা নিলো দু’জন মার্কিন সাংবাদিক। নিউ ইয়র্ক টাইমসের অ্যাঞ্জেলা ও চার্লি। হুতু অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে এসকর্ট করে ওদের নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধলো বিপত্তি। বেঁধে গেল অসম লড়াই। ক্যাম্প থেকে পঞ্চাশ মাইল দূরে, হুতুদের এলাকায় আটকা পড়লো ইরফান ও তার ভারতীয় বন্ধু প্যাটেল। এর মধ্যেই চললো আমেরিকান বান্ধবীর খোঁজ। শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলাকে উদ্ধার করতে পারবে কি ওরা? নিজেরাও কি প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পারবে লক্ষ্মীছাড়া দেশটা থেকে?
কঙ্গোয় প্রবল সামরিক যুদ্ধ আর হুতু-তুতসিদের চিরায়ত দ্বন্দ্ব থেকে লৌকিক-অলৌকিকের দ্বন্দ্বে ঢুকে পড়ার যাত্রা তো কেবল হলো শুরু।
এ এক অনবদ্য যুগলবন্দি!

পৃষ্ঠাসংখ্যা ১৬০ | মুদ্রিত মূল্য ২২০ ৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ১৫৪ টাকায়)

 

১১। এইখানে জাদুঘর পাতা আমাদের

‘জাদুঘর’ নামে এক নতুন জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে গেছিল চার বছর আগে। ঠেকানো যায়নি তার বিস্তার, প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। কাজেই ডাক পড়লো মূর্তজার। কাঁটা দিয়েই তো কাঁটা তুলতে হয়। ভয়ঙ্কর এক খুনিকে জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতার পেছনে লেলিয়ে দিলো সে।

গণভবন পর্যন্ত গড়ালো জল। ওদিকে দিনদিন তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ধর্মপ্রচারক নিশান মাহমুদ। বাংলাদেশের রাজনীতির পটপরিবর্তনের জন্য মোক্ষম এক পরিবেশ, এর মধ্যে চলছে শেকড়ের খোঁজ।
ভয়ঙ্কর অ্যাকশন, বুদ্ধির খেলা, আর রাজনৈতিক চাল-তিনের সমন্বয়ে ঘটনা গড়াচ্ছে তো বটেই, কিন্তু এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে একটি মাত্র প্রশ্নের মধ্যে। নির্মম এই জঙ্গি কেন বেছে নিয়েছিল বিখ্যাত সে দু’লাইন?

জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে
রক্তের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে

ভালো পরিবার ও ভালো সমাজে বেড়ে ওঠা ভদ্র সন্তান কীভাবে নিষ্ঠুর এক জঙ্গিতে পরিণত হতে পারে তা-ই জানতে হবে মূর্তজাকে। প্রতিটি পাতায় অ্যাকশন, তবে স্রেফ থৃলার হিসেবে নয়! প্রতিটি বাবা-মা, কিংবা সন্তান গ্রহণে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীর জন্য এই বইটি অবশ্য পাঠ্য।

১২। ডিসটোপিয়া

চাইলেই আপনি চলে যেতে পারেন না আমেরিকা কিংবা ফ্রান্স। কেন? বর্ডার নামক এক কিম্ভুতকিমাকার বস্তু যে উপস্থিত! বর্ডারের সংজ্ঞা নানা প্রকার, তবে ওটা যে নির্দিষ্ট এক অঞ্চলের মানুষের ওই অঞ্চলের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখার প্রয়াস বই নয়, তাতে নিঃসন্দেহ থাকা যায়। চেষ্টা করেই দেখুন ইংল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে একটা ব্যবসা করার, হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। ওয়ার্ক-পারমিট বা ওয়ার্ক-ভিসা ছাড়া অন্য দেশের নাগরিককে একটা পয়সা পর্যন্ত নিতে দেবে না উন্নত কোনও দেশ। শরণার্থি নেবার বেলাতেও সবাই একজোট। তাদের ভাত আরেক অঞ্চলের লোক খেয়ে ফেলবে এটা মেনে নেবে কে! অথচ ধনী দেশ আমেরিকার সম্পদ থেকে খানিকটা ধার দিলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সোমালিয়ার মানুষ। কিন্তু দেবে না।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এভাবে ধনী হতে পারে আরও ধনী। গরিব থাকে আরও গরিব। গত শতকে মানুষ ভেবেছিল দুনিয়া অনেক এগিয়ে যাবে একশ বছর পর। দুনিয়া এগিয়েছে ঠিকই। টেসলার এলন মাস্ক রকেট ছুঁড়ছেন দিগ্বিদিক। ফাইভ-জি আর লাই-ফাই দিয়ে যোগাযোগ করছে পশ্চিমাবিশ্বের মানুষ, গিগাবাইট পার সেকেন্ড পাওয়া যায় ফ্রি-ওয়াইফাই জোনে। বাংলাদেশের মানুষ থ্রি পয়েন্ট ফাইভ জি নিয়েই টিকে আছে। আফ্রিকার অনেক দেশে টুজি পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। সিরিয়া, কিংবা ইরাক, কঙ্গো আর ফিলিস্তিনে ভিক্ষা-চাইনে-কুত্তাটা-সামলান দশা; ফাইভ-জি দূরে থাকুক, বাঁচার অধিকার পাওয়াই সেখানে দুষ্কর। সভ্যতা এবং মানুষ এগিয়ে যায় বটে, তবে সবাইকে নিয়ে নয়।
তিনশ বছর পর, মানুষের এই স্বভাব চরিত্র কিছুমাত্র বদলে গেছে?
সে সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান চট্টগ্রাম অঞ্চলে জেগে উঠলো এক্স-মিলিটারিম্যান, সায়েন্টিস্ট মাহমুদ, “ডিপস্লিপ” নামক টেকনোলজির আবিষ্কারক। ভেবেছিল ৩০০ বছর পরের সভ্যতা দেখে তাক লেগে যাবে তার। অথচ আবিষ্কার করলো এক উন্মাদ জগত। হেলমেট-বাহিনী আর তাদের সংগঠনের কথাই এখানে আইন!
মাহমুদ আবিষ্কার করলো নতুন এক বিশৃঙ্খল-জগত!
দুর্ভেদ্য এক ডিসটোপিয়া…

১৩। আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে জনপ্রিয় যোদ্ধারা কারা?
শুধু নাম নয়, কাদের অন্তত একটি যুদ্ধের কথা ষোলো কোটি মানুষের সবাই জানেন?
এই প্রশ্নটি করা হলে উত্তর নিঃসন্দেহে আসবে, “সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এবং ঢাকার গেরিলারা, যাদের আনঅফিশিয়াল নাম পরে হয়ে যায় ‘ক্র্যাক প্ল্যাটুন’।”

এই বইয়ের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল ক্র্যাক প্ল্যাটুনের বীরত্বগাঁথার রচনাবলী। একাধিক দক্ষ সাহিত্যিক ঢাকার তরুণ, স্মার্ট, শিক্ষিত গেরিলাদের নিয়ে লিখেছেন উপন্যাস। নন-ফিকশন ফিকশন বলা হয় সাহিত্যের যে শাখাটিকে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হলো এই দলটি বাংলাদেশের বর্তমান মধ্যবিত্তের জন্য সবচেয়ে বেশি ‘রিলেটেবল’। তবে দুঃখজনকভাবে সাত বীরশ্রেষ্ঠকে নিয়ে আলাদা করে সাহিত্য লেখার চেষ্টাটি খুব বেশি দেখা যায়নি। নন-ফিকশন লেখা হয়েছে প্রচুর, তবে ‘নন-ফিকশন ফিকশন’ লেখার জন্য আগ্রহের অভাব দেখা যায়।

এই বইটিতে ইতিহাসের প্রথমবারের মতো সেই চেষ্টাটিই করা হয়েছে।
সামনের মলাট ওল্টালেই সরাসরি পাঠককে নামিয়ে দেয়া হবে জাতির সূর্যসন্তানদের পাশে। তাদের সাথে হাঁটার সুযোগ পাবেন আপনি। বসতে পারবেন তাদের সাথে। ছুটবেন আপনি, শত্রুর দিকে ছুঁড়বেন তপ্ত সীসা, এবং অনুভব করবেন আপনার দিকে ছুটে আসা প্রতিটি বুলেট।

সাত বীরশ্রেষ্ঠকে খুব কাছ থেকে দেখার, বোঝার, ও অনুভব করার এমন সুযোগ বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য এর আগে কখনো আসেনি।

কিশোর রিক্রুট হামিদুর রহমানের উত্থান আপনি যদি তার পায়ে হেঁটে দেখতে চান, অনুভব করতে চান হাসিখুশি তরুণ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বদলে যাওয়া এক পাষাণহৃদয় যোদ্ধায়, কিংবা একই ককপিটে বসে দেখতে চান ধীর-স্থির মতিউর রহমানের চারশ নট গতিতে উড়ে যাওয়া –

এই বইটি আপনার জন্য।

নন ফিকশন অনুবাদগ্রন্থ

১। দ্য পাওয়ার অফ হ্যাবিট (চার্লস ডুহিগ)
ফাকাবুলি নেই। যা যা লেখা আছে সবই বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল। তবে এক্সপেরিমেন্ট এখানে হয়েছে মানুষের ওপর। লেখক সেই মানুষগুলোর গল্পকে থ্রিলার ধাঁচে বর্ণনা করেছেন। নন-ফিকশনটা হয়ে গেছে ফিকশনের মতো। এই বই থেকে আমি অনেক কিছু বুঝেছি, যা এই বইয়ে আলোচনাও হয়নি।

যেমন : ইসলাম ধর্মে কেন এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করাকে এত ভয়ঙ্কর পাপ হিসেবে দেখানো হয়েছে?

২। হিট রিফ্রেশ (সত্য নাদেলা)
মাইক্রোসফটের সিইও-র লেখা এই বই। প্রকৌশলী ছেলেমেয়েদের অবশ্যই পড়া উচিৎ। সেই সঙ্গে পড়া উচিৎ সব উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীর। আজকের মাইক্রোসফট কেন এবং কিভাবে আজকের মাইক্রোসফট তা বুঝতে পারবেন এবং শিহরিত হবেন।

৩। ওয়ান মিনিট ম্যানেজার
এটা ম্যানেজমেন্ট হ্যাক। নিজের জীবনে প্রয়োগ করার মতো কিছু টিপস আছে, সাব-অর্ডিনেট সামলাতে পারবেন অতি সহজে, আগের চেয়ে বেশি কর্মদক্ষতা নিয়ে।

অনুবাদকৃত উপন্যাস

১। ফলেন (ক্যারিন স্লটার)
প্রশিক্ষণের চেয়েও একজন পুলিশ অফিসারের প্রবৃত্তি বেশি কাজে দেয়। ফেইথ মিশেলের মা ফোন ধরছে না। বাড়ির সামনের দরজাটা খোলা। দরজার হাতলে রক্তের ছোপ। তার শিশুকন্যা বাড়ির পেছনের শেডে লুকিয়ে রেখেছে কেউ। অস্ত্র হাতে বিকট এক লাথি মেরে মায়ের বাড়ির দরজা খুলতেই জর্জিয়া ব্যুরোর প্রশিক্ষণে শেখা প্রায় সব শিক্ষাই ভুলে গেল মিশেল। ভেতরে বেডরুমে জিম্মি-নাটকের শুরু, দেওয়ালে বুলেটের চিহ্ন, মেঝের সবখানে জমাট না বাঁধা রক্তের দাগ, লন্ড্রি রুমে পড়ে থাকা অজ্ঞাত একজনের লাশ, শুধু খোঁজ নেই তার মায়ের।

মাকে খুঁজে বের করতে এমন সব মানুষজনদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে তাকে, দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যারা ছিলেন দারুণ শ্রদ্ধার পাত্র।

এমন বিপদে পাশে এসে দাঁড়ালো সহকর্মি উইল ট্রেন্ট আর শুভাকাঙ্খি সারা লিনটন। তারা জানে না কাকে বিশ্বাস করতে হবে। অন্ধের মতো অন্ধকার এক জগতে পা বাড়ালো ওরা, যে জগতটি বিস্মৃত ছিলো কয়েক দশক ধরে…

বর্তমান সময়ে বিপুল জনপ্রিয় থৃলার-লেখক ক্যারিন স্লটারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস এটি। প্রথম অধ্যায় থেকেই বিমোহিত করে রাখবে পাঠককে।

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৮৪ | মুদ্রিত মূল্য ৩৮০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২৬৬ টাকায়)

২। অরফান এক্স (গ্রেগ হুরউইজ)
সুরক্ষিত পেন্টহাউজে বাস করে সে, কারও সাতে-পাঁচে নেই, আপাতদৃষ্টিতে নিতান্তই গোবেচারা একজন। কঠোরভাবে মেনে চলে কয়েকটি অনুশাসন, অনুসরণ করে নিজস্ব কিছু নীতি। ছকে বাঁধা জীবন তার। এর বাইরে তার অন্য একটি পরিচয় আছে, তবে খুব বেশি মানুষ সেটা জানে না।

জীবন-মরণ সমস্যায় নিপতিত মানুষগুলো তার সাহায্য কামনা করে–তাদের কাছে সে কেবলই একজন নোহোয়ার ম্যান। প্রতিপক্ষের চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে সব সময়, অতিমাত্রায় সতর্ক একজন মানুষ সে। কঠোর প্রশিক্ষণ কাজে লাগায় অসহায়দের পক্ষে। কিন্তু সর্বশেষ মিশনটি সবকিছু ওলটপালট করে দিলো, ছক থেকে বের হয়ে আসতে হলো তাকে। অনুশাসনের বলয় থেকেও সরে এলো ধীরে ধীরে। প্রতিপক্ষের সুচতুর চাল উন্মোচিত করে দিচ্ছে তার মুখোশ। তবে কি কেউ জেনে ফেলেছে তার গোপন পরিচয়টি? জীবনে প্রথমবারের মতো কি ব্যর্থ হতে চলেছে ‘অরফান এক্স’? প্রথমবারের মতো বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে নিলো ইভান স্মোক। অন্ধের মতো ঝাঁপ দিলো অতল এক গহ্বরে। নাকি পেতে রাখা ফাঁদে?

গ্রেগ হুরউইজের অসাধারণ সৃষ্টি ‘অরফান এক্স’ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত আর জনপ্রিয় থৃলার। বাংলাভাষাভাষি পাঠককে স্বাগতম এর আস্বাদ নেবার জন্য।

পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৩০ | মুদ্রিত মূল্য ৩২০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২২৪ টাকায়)

৩। দ্য গার্ল অন দি ট্রেন (পলা হকিন্স)
র‌্যাচেল ওয়াটসন ছিলো হতাশারই মূর্ত প্রতীক। প্রতিদিন সকালে অফিসগামী ট্রেনে করে লন্ডনে যায় সে, ফিরে আসে বিকেলে। মাঝে এক ছোট্ট সিগন্যালে থেমে যায় ট্রেন, তার চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ দম্পতিটিকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখতে পায় সে। মনে মনে ওদের দুটো নামও দিয়ে দিয়েছিলো র‌্যাচেল, “জেসন” এবং “জেস”। নিখুঁত তারা, কয়েকদিন আগে সব হারানো র‌্যাচেলের সম্পূর্ণ বিপরীত!

এরপর চমকে ওঠার মত কিছু একটা দেখতে পেলো সে। এক মিনিটের কম সময়ে দেখা দৃশ্যটা সবকিছু পাল্টে দিলো। নিজের ভেতরে তথ্যটা জমিয়ে রাখা তার জন্য ছিলো অসম্ভব। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে সব খুলে বললো সে।

উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেললো না তো ও?

তার ছোট্ট জগতের প্রতিটি মানুষের জীবন যে এর সঙ্গে জড়িত!

র‌্যাচেল জানতো না ভুল জায়গাতে নাক গলাতে এসেছিলো সে। চরম বিপদে পড়তে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে তার কোন ধারণাই নেই!

পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৮৬ | মুদ্রিত মূল্য ২৬০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ১৮২ টাকায়)

৪। হিট ওয়েভ (রিচার্ড ক্যাসল)
ব্যালকনি থেকে আছড়ে পড়ে মারা গেলেন রিয়েল স্টেট মোঘল ম্যাথু স্টার । খুন নাকি আত্মহত্যা- প্রশ্নটার জবাব পাওয়ার আগেই ঘটতে শুরু করল একের পর এক নাটকীয় ঘটনা । তদন্তের দায়িত্ব পড়ল ডিটেকটিভ নিকি হিটের ওপর । পেছনে ছায়ার মত লেগে রইল বিখ্যাত সাংবাদিক জেমসন রুক।

পুরোদমে তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। পরিপূর্ণ পুলিশওয়ার্ক বলতে যা বোঝায়, তাই করে চলল ডিটেকটিভ হিট । ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকল সত্য আর মিথ্যের ফারাক। পার্সন অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলো মিথ্যে বলছে কেন? ম্যাথু স্টারের প্রকৃত পরিচয় কি? ব্যবসায়িক কারনে খুন হয়ে গেলেন, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে? পার্সন অফ ইন্টারেস্টদের সাথে ভিক্টিমদের সম্পর্ক কি ছিল?

এক্ষেত্রেও প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার আগেই ডিটেক্টিভ হিট এবং জার্নালিস্ট রুকের সম্পর্কে এল নাটকীয় পরিবর্তন। সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রেইড চলছে, চলছে একের পর এক ইন্টারভিউ, হাতকড়া উঠছে একের পর এক অপরাধীর হাতে, বাতাসে শিস কাটছে বুলেট, কিন্তু প্রমাণ জুটছে না। নাগালের বাইরেই রয়ে যাচ্ছে খুনি।

নিকি হিট কি পারবে সত্যিকারের খুনিকে ধরতে?

পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৪০ | মুদ্রিত মূল্য ২৩০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ১৬১ টাকায়)

৫। জয়ল্যান্ড (স্টিফেন কিং)
ডেভিন জোন্স, কলেজের গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে কাজ নিলো জয়ল্যান্ডে। হৃদয়হীন প্রেমিকাকে ভুলে যেতেই এই কাজ নেওয়া। কিন্তু সেখানে গিয়ে মুখোমুখী হলো ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির সঙ্গে। এক কুখ্যাত খুনীর ইতিহাস, মৃতপ্রায় শিশুর ভাগ্য আর জীবনের অন্ধকার অধ্যায়গুলো মিলেমিশে একাকার হলো। তারপর যা ঘটলো, তাতে করে উল্টেপাল্টে গেল ওর চিরচেনা পৃথিবী।

কী হচ্ছে জয়ল্যান্ডে?

পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৭২ | মুদ্রিত মূল্য ৩২০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ২২৪ টাকায়)

৬। ভেলোসিটি (ডিন কুন্টজ)
মনে করুন, একজন উন্মাদ খুনী আপনাকে দুটো মানুষের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বললো। আপনি যাকে নির্বাচন করবেন, তাকেই ভয়ঙ্করভাবে হত্যা করবে সে। কাকে বেছে নেবেন আপনি? আদৌ কাওকে বেছে নিতে পারবেন কী? কিন্তু, খুনের দায়ভার যদি আপনাকে এড়িয়ে যেতে দেওয়া না হয়?

চতুর খুনী বিলি ওয়াইলসকে দায়ভার এড়ানোর কোন সুযোগ দেয়নি। প্রতিটি খুনের দায় চাপানো হল নিরীহ এক বারটেন্ডারের কাঁধে। পরিচিত মুখগুলো প্রাণ হারাতে শুরু করলে মরিয়া হয়ে উঠলো বিলি।

শেষ টার্গেটের নাম জানতে পেরে আঁতকে উঠলো ও!

পৃষ্ঠাসংখ্যা ২৫৬ | মুদ্রিত মূল্য ২৮০৳

(আজ অর্ডার করলে পাচ্ছেন মাত্র ১৯৬ টাকায়)

 

 

চতুরঙ্গ

আমার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে স্বাগতম!

সাপ্তাহিক চতুরঙ্গ ইনবক্সে পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন! এতে আপনি প্রতি সপ্তাহে পাচ্ছেন আমার বাছাইকৃত চার লেখা!

আপনার কাছে কোন স্প্যাম ইমেইল যাবে না। নিউজলেটার ইমেইল ইনবক্সে খুঁজে না পেলে স্প্যাম কিংবা প্রমোশনাল ফোল্ডার চেক করুন!