এ তো গেল বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশনের জন্য জেলারালাইজড আলোচনা, এবার আরেকটু পার্সোনালাইজ আলোচনাতে ঢোকা যাক।
কারণ আমাদের চিন্তা হয়ে থাকে আত্মকেন্দ্রিক। অর্থাৎ ভিসার ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে মানুষ মনে করে, “আমার তো এসব এসব বলতে হবে, আমার তো এই এই হাল।” কিন্তু এটা ভাবার অবকাশই রাখেন না তারা যে ভিসা ইন্টারভিউ যিনি নিচ্ছেন, সেই ভিসা অফিসারের দিক থেকে জিনিসটা কেমন, তিনি কী ভাবছেন!
আমার সিজিপিএ ছিলো মাত্র ৩.১০। পড়াশোনা ছিলো রুয়েটের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে।
পিপিং টম কিংবা এক প্রোফেশনাল পার্ভার্টের মতো পর্দার ফাঁকে ফোকড়ে উঁকি দেয়। একদিন খঞ্জনা বিষয়টা দেখে ডাকলো, “অ্যাই কাক! ওখানে কী? ইদিক আয়! এক্ষুণি আয় বলচি!”
বেচারা কাক মাথা নিচু করে হেঁটে এলো। স্বীকার করলো, “যা নাচো দিদি। একটু যদি শেখাতে।”
এবার অবভিয়াসদের মধ্যে আলোচনা করার চেষ্টা করবো আরেকটা জিনিস নিয়ে। অনেক সিনিয়র, বুড়ো লোকজনই এই অংশটি এড়িয়ে যেতে পারেন, কারণ তাদের কাছে এটা এটি অবভিয়াস যে মেনশন করার দরকার অনুভব করবেন না, তাই আমি একি ভুল করার আগেই গোড়া থেকে শুরু করার চেষ্টা করবো।
বাজে ছাত্র আমি, এই হতাশা থেকে একবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। চারতলার ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে।
ভদ্রলোককে সবগুলো দাঁত বের করে বললাম, "শুভ সকাল, স্যার।"
তিনি আমাকে চুদলেনও না।
প্রথম রাতেই বেড়াল মারার যে আলাপ বাঙালি করেন, তা সব সময় সত্য হয় না। ঠিক যেমনটা করতে গিয়ে লটকে গেলো আমার রুমমেট উইল।
জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্ট, হিউস্টন।
কাঁচের ওপাশে বসে থাকা কাস্টোমসের নীলচোখের ভদ্রলোক আমার দিকে সরু চোখে তাকিয়ে আছেন।
কাছের এক বেঞ্চে বসতে গিয়ে বুঝলাম, আজ নেংটু না হয়ে প্লেনে ওঠা সম্ভব হবে না।