আমি কেবল বললাম, “জায়ীফের জন্য হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে একটা মেয়ে পড়ে গেছে।”
জায়ীফ কটমট করে আমার দিকে একবার তাকালো।
‘প্রতি মানুষের ভেতরে মহাপুরুষ প্রমাণ করল কবে হিমু?’ আকাশ থেকে পড়ে ফারিহা।
আকাশ থেকে তো আমিও পড়েছি। এই মেয়ে দেখা যায় বই-টইও ভালোই পড়ে। আবার পেশায় যৌনকর্মী।
নিজের রোলটা পার হয় যেতেই আবারও ঝুঁকে পড়ে তাহমিদ কাগজটার ওপর। হাতে আতশী কাচ। পাশের সারি থেকে ওদের ভাব ভঙ্গী দেখে মুচকি হাসে প্রিয়াংকা আর কেয়া।
মা অবশ্য আপত্তি করছেন না। হুজুর বাড়ি বন্ধ করলে ক্ষতিই বা কোথায়? আর বাড়িওয়ালা আংকেল তো রীতিমত উৎসাহিত এই সমাধানে। আমিও শত্রুপক্ষের সাথে তাল মেলালাম।
‘সিনিয়র ভাই জানার পরও সামনে সিগারেট খাচ্ছ – সরাসরি তাকিয়ে আছ – নিজেকে ওভারস্মার্ট মনে কর?’
ছেলেটা বুঝে গেলেই তো শেষ। ছেলে জাতিটাকে চেনা আছে। বুঝিয়ে দাও তুমি দুর্বল – তোমার প্রতি আগ্রহ হাওয়া হয়ে যাবে সাথে সাথে। ভাব ধরে থাকতে হয়।
‘আমাকে দুধের শিশু পাইছ? তুমি ক্যাম্পাস থেকে ওই ডাইনিটার সাথে বের হয়েছ – কি ভেবেছ কিছুই খোঁজ খবর রাখি না আমি??’
‘মুখ সামলে কথা বল।’ ওর বলার ভঙ্গিটা শুনে মেজাজ চড়ে গেল রিয়াদের।
‘আমার সাথে তুমি এভাবে কথা বলছ একটা প্রস্টিটিউটের জন্য? ওর জামাকাপড়ের অবস্থা দেখছ?’
তন্ময় মনে হচ্ছে ওর মাথার ভেতর ঢুকে বসে আছে। কেন? কারণ ওই একটা অজানা প্রশ্ন। হয়তো ওরা শুধুই বন্ধু। ওই কৌতূহলটাই হয়েছে কাল।
সুন্দরী একটা মেয়ের কান্না দেখার চেয়ে বাজে জিনিস আর কিছু হতে পারে না। তাছাড়া একজন পুরুষের পক্ষে এমন এক মেয়ে উপেক্ষা করাও শক্ত এক কাজ।