KP Imon

Words Crafted

অধ্যায় ০২. ০৩. ⌛ চিন্তার পরম অবস্থান

অধ্যায় ০১ অধ্যায় ০২ অধ্যায় ০২/০১ অধ্যায় ০২/০২

ছোটবেলায় অংক কষেছেন তো সবাই, বড় হয়ে যে যে-ই বিষয়েই পড়াশোনা করে থাকুন। মনে পড়ে, কিছু একটা প্রমাণ করার জন্য কেমন ভাবে একটা তত্ত্বর বিপরীত তত্ত্বকে সত্য বলে ধরে নেওয়া হতো? তারপর সেটাকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করা গেলেই প্রমাণ হয়ে যেত। হয়তো মনে পড়ছে না, তাই একটা উদাহরণ দেই।

প্রমাণ করতে হবে যে, 2 একটি অমূলদ সংখ্যা। সেক্ষেত্রে আমরা কী করতাম? ধরে নিতাম যে 2 একটি মূলদ সংখ্যা। এবং ক/খ (যেখানে ক ও খ দুটো বাস্তব সংখ্যা) করে প্রমাণ করা যেত এই তত্ত্বটা কন্ট্রাডিকটরি। কাজেই 2 মূলদ সংখ্যা হতে পারে না। অর্থাৎ এটি একটি অমূলদ সংখ্যা। 

গণিতের বইয়েই ফেলে এসেছি হয়তো আমরা এই লব্ধ জ্ঞান। কিন্তু অনায়াসেই আপনি এই জ্ঞান কাজে লাগাতে পারবেন চিন্তার ক্ষেত্রেও। আমি বরং বলবো, চিন্তার ক্ষেত্রে গাণিতিক মডেল মানাটাই সহজ ও নিরাপদ। তাহলে আপনি ডিরেইলড হয়ে যেতে পারবেন না। অর্থাৎ, আপনি যা ভাবছেন তাই সঠিক বলে ভাবতে শুরু করবেন না সেক্ষেত্রে। কারণ, দশজনের চিন্তা দশ রকম হয় ও দশ ধরণের ভিত্তির ওপর তা গড়ে ওঠে। প্রত্যেকের চিন্তার পেছনেই আছে নিজস্ব লজিক।

ভেবে দেখুন, যে আজ ইসলাম ত্যাগের শাস্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সঠিক ও ন্যায় মনে করে, তার কিছু যুক্তি আছে। সে মনে করে তার চিন্তা সঠিক। যে বহুগামিতাকে ‘অন্যায়’ মনে করে, তার চিন্তার পেছনেও যুক্তি আছে। সে মনে করে তার চিন্তাই সঠিক। এভাবে আপনি দেখবেন অনেক ভুল চিন্তাকেও মানুষ ঠিক মনে করছে এবং ধরে নিচ্ছে তাদের চিন্তা সঠিক। শুধু তাই নয়, তারা মনে করে আমাদের চিন্তা ভুল হতেই পারে না! আমরা এ বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত। 

তাহলে দেখা যাচ্ছে এখানে একটা সমস্যা রয়ে গেল। সবাই নিজের চিন্তাকে সঠিক মনে করছে এবং সবার আছে নিজস্ব মরাল কোড ও সংবিধান। আছে তাদের নিজস্ব যুক্তি, যা আপাতদৃষ্টে অকাট্য। অথচ আমরা জানি, বুদ্ধির বিকাশ ঘটানোর জন্য মস্তিষ্ককে বার বার কাজে লাগাতে হয়। এই কাজটা সহজ নয়, পরিশ্রমের। সমাজের মেজরিটি সেই পরিশ্রম করতে চান না এবং তাদের বোঝার পরিমাণ নগণ্য ও সামান্য। অবিকশিত বুদ্ধি ব্যবহার করে মুরতাদ হত্যা ও বহুগামিতাবিরোধী যুক্তি খুঁজে বের করা সম্ভব কারণ, তারা এর সঙ্গে জড়িত সবগুলো ফ্যাক্টর দেখতে পান না। অর্ধেক ছবি চোখে পড়লেও তারা মনে করেন সবটাই দেখে ফেলেছেন, সবটুকুই বুঝে ফেলেছেন। আমরাও তাদের একজন অবশ্যই হতে চাই না।

এজন্য আমাদের দরকার ছোট্ট একটা ট্রেনিং, যার মাধ্যমে আমরা পৌঁছাতে পারবো চিন্তার পরম অবস্থানে।

যেন ভুল ও সঠিক চিন্তার মধ্যে আমরা পার্থক্য করতে পারি।

চিন্তার পরম অবস্থান

মনে পড়ে গণিত নিয়ে কিছুক্ষণ আগে আমরা আলোচনা করেছিলাম? চিন্তার পরম অবস্থানে আপনি ঐ 2 অমূলদ সংখ্যা প্রমাণের মত একটা অবস্থানে যাবেন। 

ধরে নিতে হবে, 2 একটি মূলদ সংখ্যা। তারপর তদন্ত করে দেখবেন তা সত্য হতে পারে কী না। এই তদন্ত করার ক্ষেত্রেই আপনার দরকার পড়বে আরেকটি যন্ত্র বা টুল। যে ব্যাপারে আমরা পরের অধ্যায়ে কথা বলবো। 

এখন একটা বাস্তব উদাহরণ নিয়ে কাজ করা যাক। সমাজের বহুল প্রচলিত কোনও ন্যায়-অন্যায়বোধ নিয়ে ভেবে দেখি, চলুন। টপিক নির্ধারণ করে ফেলি তবে। 

টপিক : বহুগামিতা খারাপ। বিয়ের পর পরপুরুষের সাথে স্ত্রী মেলামেশা করলে তা স্বামীকে জানিয়ে করতে হবে নয়তো ডিভোর্স নিতে হবে। বহুগামিতা যারা সমর্থন করে তারা কাকোল্ড এবং অন্যের সাথে স্বীয় স্ত্রীকে দেখতে পছন্দ করে।

এই টপিকটা বাছাই করতে সুবিধা হলো, কারণ, নেটিজেনরা গত কয়েকদিন ধরে লাইভে এসে স্ত্রীকে হত্যা করার মত এক ঘটনা ডিফেন্ড করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এখানে নিজেদের চিন্তার ত্রুটি নেটিজেনরা দেখতে পাচ্ছেন না, যেহেতু চিন্তার পরম অবস্থানের ব্যাপারে তাদের ধারণা নেই। আমরা এখন এই টপিকটাকে ব্যবচ্ছেদ করবো। দেখবো চিন্তার পরম অবস্থান থেকে বিষয়টা দেখতে কেমন।

2 একটি অমূলদ সংখ্যা প্রমাণ করার সময় আমাদের হাতে দুটো মাত্র সম্ভাব্য আর্গুমেন্ট ছিলো। 

১। 2 একটি মূলদ সংখ্যা।

২। 2 একটি অমূলদ সংখ্যা।

কিন্তু আপনি যখন থট প্রসেসের জগতে, তখন দুটো চয়েজ আপনার হাতে কদাচিৎ থাকবে। যেমন আমরা আমাদের উদাহরণের টপিকটাকে আর্গুমেন্ট বাই আর্গুমেন্ট ধরে ব্যবচ্ছেদ করবো। 

ওখানে বেশ কিছু আইডিয়া ছিলো। চলুন, শুরু করা যাক। 

আইডিয়াদের ব্যবচ্ছেদ 

টপিকটিকে ভাঙলে পাওয়া যায়

(১) বহুগামিতা খারাপ। 

(২) বিয়ের পর পরপুরুষের সাথে স্ত্রী মেলামেশা করলে তা স্বামীকে জানিয়ে করতে হবে নয়তো ডিভোর্স নিতে হবে। 

(৩) বহুগামিতা যারা সমর্থন করে তারা কাকোল্ড এবং অন্যের সাথে স্বীয় স্ত্রীকে দেখতে পছন্দ করে।

আইডিয়া-০১ বহুগামিতা খারাপ।

আর্গুমেন্ট (ক) বহুগামিতার কারণে শিশু পরিবারের নিরাপত্তা পায় না। স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। এমন শিশু পরবর্তীতে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে। 

আর্গুমেন্ট (খ) সমাজের অধিকাংশ চরিত্র আগ্রহ জাগানিয়া নয়। সাধারণ মানব ও মানবীরা চাইবেন তাদের পার্টনার যেন তাদের থেকে তীক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা বা সৌন্দর্যের যুবক/যুবতীর প্রেমে পড়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করে। তাই তারা বিবাহ আইনের শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের সাধারণ ও বোরিং চরিত্র নিয়েও স্বামী/স্ত্রীর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান। মেজরিটির নিরাপত্তার স্বার্থে এবং একটি বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য বহুগামিতাকে খারাপ বলতে হবে। 

আর্গুমেন্ট (গ) বহুগামিতাকে ভালো মনে করা হলে সমাজের আর্যদের (যারা শারীরিক গঠন, বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিতে উন্নত) সঙ্গে বিবাহবন্ধনে থাকা অবস্থাতেও পুরুষ ও নারীরা সম্পর্ক স্থাপন করবেন। এতে করে সাম্যবহির্ভূত আচরণ ঘটবে। যারা ছোটবেলা থেকে নিজেদের জ্ঞানে ও দেহগঠনে উন্নত করার চেষ্টা করেননি, তাদের একা থাকতে হবে। সাম্যহীন সমাজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। 

আর্গুমেন্ট (ঘ) মানব ইতিহাসের প্রায় পুরোটা সময় নারী ও পুরুষ তাদের পছন্দের মানুষটির অধিকার নিজের করে রাখার চেষ্টা করেছে। এই প্রচেষ্টা ন্যায় কী অন্যায় তার আলোচনা ভিন্ন, তবে হাজার বছরের ইন্সটিংক্ট উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা মানব সমাজের স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে এবং বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির পথ এটি খুলে দিতে পারে। 

আর্গুমেন্ট (ঙ) ধর্মগ্রন্থে নারীর বহুগামিতাকে সমর্থন দেওয়া হয়নি, তবে পুরুষকে ঠিকই তাতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিছু ধর্মগ্রন্থে অবশ্য কাউকেই এই অধিকার দেওয়া হয়নি। সব ধর্মেই বহুগামিতাকে বাঁকা চোখে দেখা হয়। 

আর্গুমেন্ট (চ) সমাজ বহুগামিতা সমর্থন করে না। কাজেই আমরাও করি না।

আর্গুমেন্ট (ছ) যাদের এখনও বিবাহ হয়নি তারাও সাধারণত বহুগামিতাকে খারাপ মনে করে, যদিও এদের কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা খোলা চোখে দেখা যায় না। তবে বহুগামিতার বৈধতাকরণে যে কারও বাবা-মা এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে যা সন্তান হিসেবে আমাদের কাছে লজ্জার। কাজেই একে যে কোনও মূল্যে খারাপের কাতারে গণ্য করার কারণ তাদের থাকে।

আপনারা কী বুঝতে পারছেন, আমরা এখানে কী করার চেষ্টা করছি? একটা আইডিয়া যখন সমাজ শেয়ার করছে, তখন প্রথমে আমরা চিন্তার পরম অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছি। সম্ভাব্য সকল ব্যাখ্যা বোঝার চেষ্টা করছি বক্তার। সমাজের মেজরিটি মনে করেন বহুগামিতা খারাপ। তার স্ত্রী কিংবা স্বামী আরেকজন সঙ্গি/সঙ্গিনীর কাছে গেলে তা তিনি মেনে নেবেন না।

আপনি এই মতামতের পক্ষে হোন, বিপক্ষে হোন, অথবা নিউট্রাল, চট করে কোনও সিদ্ধান্তে কিন্তু চলে আসবেন না। কারণ আমরা এরই মধ্যে জানি, সমাজ বা ধর্ম বললেও, সমাজের ১০০% মানুষ কোনও কাজকে খারাপ বা ভালো বললেও তাকে ভালো কিংবা খারাপ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। আপনাকে প্রশ্ন করতে হবে, “কেন?”

তবে, আগের অধ্যায়গুলোতে আপনাকে আমি বলেছি, এই প্রশ্ন আপনি আইডিয়াটাকেই করবেন। আসলে তা নয়। প্রশ্নটা আপনি আইডিয়াকে করবেন না। করবেন, আর্গুমেন্টগুলোকে।

একারণে, মানুষ কী বলতে চাইছে, কতভাবে তারা একটা চিন্তাকে জাস্টিফাই করতে চাইছে তা জানতে হবে। সবগুলো আর্গুমেন্ট দেখতে হবে। আপনি যখন সবগুলো আর্গুমেন্ট দেখার মত একটা অবস্থানে আসবেন, তা-ই চিন্তার পরম অবস্থান।

অ্যাপেন্ডিক্স

চিন্তার পরম অবস্থান বোঝার জন্য বাকিটা আইডিয়াগুলো নিয়ে কাজ করার দরকার নেই। তবে পরবর্তী অধ্যায়গুলোর আলোচনার জন্য এই অংশের প্রয়োজন। কাজেই একে অ্যাপেন্ডিক্স হিসেবে রাখছি। 

একইভাবে আমরা বাকি আইডিয়াগুলো নিয়েও কাজ করবো। যদিও আগের আইডিয়াটির ক্ষেত্রে যে ৭টি আর্গুমেন্টের কথা আমরা বলেছি, তার বাইরে আরও কয়েকশ আর্গুমেন্ট থাকতে পারে। একইভাবে সামনে যে আর্গুমেন্টগুলো নিয়ে কথা হবে তার বাইরে আরও আর্গুমেন্ট থাকার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই এগুলোই সব ধরে নেওয়ার দরকার নেই।

আইডিয়া-০২ বিয়ের পর পরপুরুষের সাথে স্ত্রী মেলামেশা করলে তা স্বামীকে জানিয়ে করতে হবে নয়তো ডিভোর্স নিতে হবে।

আর্গুমেন্ট (ক) এথিকালি স্বামীকে জানানো সঠিক কাজ। যেহেতু স্বামী ধারণা করেন স্ত্রী কেবল তার সঙ্গেই শোন, এবং এই মনে করার ওপর ভিত্তি করেই স্বামী তার সাথে বর্তমান ব্যবহার করেন ও অধিকার দেন। 

আর্গুমেন্ট (খ) সমাজের শিক্ষা হলো একই সময় একজন স্ত্রী বা স্বামী গ্রহণ করা সঠিক কাজ। কাজেই অন্য কারও সাথে মেলামেশার দরকার পড়লে স্ত্রীর উচিত ডিভোর্স দিয়েই তবে যাওয়া। একই সঙ্গে দুইজনের সাথে থাকা যাবে না এবং গাছের খাওয়া ও তলারও কুড়ানো চলবে না। 

আর্গুমেন্ট (গ) চিকিৎসাবিজ্ঞান মনে করে একাধিক যৌনসঙ্গির সাথে মেলামেশার কারণে নানাবিধ যৌনসংক্রামক রোগ হতে পারে। কাজেই বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট যে স্ত্রীর উচিত ডিভোর্স দিয়ে তার পরবর্তী সঙ্গির সাথে থাকতে শুরু করা। 

আইডিয়া-০৩ বহুগামিতা যারা সমর্থন করে তারা কাকোল্ড এবং অন্যের সাথে স্বীয় স্ত্রীকে দেখতে পছন্দ করে।

আর্গুমেন্ট (ক) আমরা বহুগামিতা সমর্থন মূলত এই কারণে করি না যেন আমাদের বউ অন্যের সাথে প্রেম করা শুরু না করে। সেটা আমাদের জন্য মানসিক যন্ত্রণার ও কষ্টের এবং আমরা কেউ কষ্ট পেতে চাই না। তাহলে, কেউ বহুগামিতা সমর্থন করলে তার ব্যক্তিগত ক্ষতি এবং যন্ত্রণার কারণ হতে পারে এই সমর্থন। অর্থাৎ নিজেকে যন্ত্রণা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরও কেউ বহুগামিতা সমর্থন করতে পারে না। এ থেকে বোঝা গেল, যে বহুগামিতা সমর্থন করছে, তার স্ত্রী অন্য কারও সাথে শুয়ে পড়লে তার যন্ত্রণা হয় না। সে স্যাডিস্ট এবং বিকৃত যৌনচিন্তার অধিকারী। সম্ভাব্য একজন কাকোল্ড। 

আর্গুমেন্ট (খ) নিজের ক্ষতি হবে জেনেও যদি কেউ নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করে সে অত্যন্ত সদ্‌গুণাবলী ধারণ করা মানুষ। আমরা যেহেতু নিজের ক্ষতি হওয়ার পরও সঠিক কাজটা করার মত কাউকে দেখি না, কাজেই এমন মানুষ বাস্তবে থাকতে পারে না। সবাই আমাদের মতই চিন্তা করে থাকে বলে আমরা ভাবি। এবং এ থেকে নিশ্চিত করে বলা যায় বক্তার কোনও ক্ষতি হচ্ছে না তার স্ত্রী অন্য কারও কাছে গেলে। অর্থাৎ বক্তা একজন কাকোল্ড যে স্ত্রীকে অন্য কারও সাথে দেখলে উত্তেজিত হয়।

চিন্তার পরম অবস্থানের পরের ধাপ 

অভিনন্দন আপনাকে। আপনি এখন জানেন কীভাবে চিন্তার পরম অবস্থানে পৌঁছাতে হয়। এর মাধ্যমে এখন আপনি যে কোনও বক্তব্য শুনলেই চট করে ক্ষেপে উঠবেন না বা একটা উপসংহারে পৌঁছে যাবেন না। সবচেয়ে উপকার হলো

আজ থেকে আপনি যে কোনও বক্তব্য শুনলেই “হ্যাঁ, তাই তো!” বলবেন না। চট করে ক্ষেপে ওঠার চেয়ে বেশী ক্ষতিকর হলো চট করে সমর্থন করা।

এখন যেহেতু জেনে গেলেন কীভাবে আপনি যে কোনও বিষয়ে চিন্তার পরম অবস্থানে পৌঁছে যেতে পারেন, যেখান থেকে সব মতবাদ আর সব যুক্তি স্পষ্ট দেখা যায়। 

তারপর আপনার আসল কাজ শুরু। আপনাকে বিশ্লেষণ করে বুঝতে হবে ওপরে উল্লেখিত কারণগুলোর কোনটা সঠিক ও কোনটা সঠিক নয়, তবে সঠিকই শোনাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা এতক্ষণ ধরে জানলাম 2 মূলদ কী কী কারণে হতে পারে। এবার আমাদের দেখতে হবে এই কারণগুলোর ব্যাখ্যা যুক্তিতে আছে নাকি কুযুক্তিতে। 

অর্থাৎ আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এই আর্গুমেন্টগুলোর মধ্যে কোনটা যুক্তি এবং কোনটা কুযুক্তি। 

কাজেই, আগামী অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করবো কুযুক্তি নিয়ে।

কিশোর পাশা ইমন

Website: http://kpwrites.link

১২টি ক্রাইম থৃলারের লেখক কিশোর পাশা ইমন রুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন, এখন টেক্সাস ষ্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেছেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বর্তমানে টেক্সাসের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ইউটি ডালাসে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডির ছাত্র। ছোটগল্প, চিত্রনাট্য, ও উপন্যাস লিখে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার লেখা প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ ও ভারতের স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা থেকে। তার বইগুলো নিয়ে জানতে "প্রকাশিত বইসমূহ" মেনু ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *