জনের বন্ধুর কাছে জানলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেনে। তার সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আরেকজন বিখ্যাত ক্যারিবিয়ান লেখক। গীতাঞ্জলি কিনে রেখেছে। নামটা বললো অবশ্য ‘গিতালি?’
ঠিক করে দিলাম, “গীতাঞ্জলি। তবে কাছাকাছি গেছ। জন কিটস অনুবাদে সহায়তা করেছিলেন।”
সে চেনে সত্যজিত রায়কেও। ফেলুদার ব্যাপারে জানে। ফেলুদাকে মনে করতে পারছিল, কিন্তু সত্যজিতকে না। গুগল করে দেখাতেই হাততালি দিয়ে উঠলো। অরুন্ধতী রায়কেও চেয়ে সে। আমাকে একটা কাগজে তার নাম লিখে দেখানোর চেষ্টা করছিল। গুগল করে বের করে দিলাম। দ্য গড অফ স্মল থিংস।
এক বেচারি মেয়েকে লাগানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ছিল এক লোক। মেয়েটা ত্রিশ মিনিট আগে আমার কাছে এসে একটা সিগারেট চেয়েছে, ওকে বললাম, “যদি পাঁচটা মিনিট অপেক্ষা করতে পারো, তোমাকে সিগারেট এনে দিচ্ছি।”
সিগারেট আমারও লাগতো। কাজেই আমাকে ওটা আনতে হতোই। এনে দেখি ঐ লোক বেচারির পিছে লেগে আছে। লাগানোর ধান্ধা।
ওকে সিগারেটটা দিয়ে বললাম, “খাও ভাই যতো ইচ্ছে।”
একটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো, “আমার নাম জেনিফার।”
আপনি ভাবেন, আপনি স্পেশাল? আপনি সিরাতুল মুসতাকিমে আছেন?
আপনি আছেন বালের ওপর।
হয়তো আমি ভুল ভাবছি।
হয়তো আমি ভাবছি উলটো।
হয়তো যারা এমপ্যাথিলেস, থটলেস, ডাম্ব, তারাই প্রবল বিশ্বাসী!
এটিএফ, হোমল্যান্ড, আর এফবিআই। কর্ম সেরেছে!
জাদুঘর পাতা আছে এই এখানে!
সেসব আলাপের টুঁ শব্দটাও বাইরে বলা যাচ্ছে না, এনডিএ।
ইরানী বালিকা যেন মরু-চারিণী
পল্লীর-প্রান্তর-বনমনোহারিণী
ক্যানিয়ন লেকে তখন নেমে এসেছে জমাটবাঁধা অন্ধকার।
টেক্সাস এমনই আনপ্রেডিক্টেবল। এই ফেব্রুয়ারি এসে এমন শীত আমরা কেউ আশা করিনি।
আমি জানতে চাই, “কারণটা কী? স্কুলে ৬-৭ বছর পড়েও মানুষ রিডিং কেন পড়তে পারবে না? বানান করে পড়তে হবে কেন?”
উইল তার চিরায়ত উত্তর দেয়, “এই শিক্ষাব্যবস্থার গোয়া মারা দরকার।”