মেয়েদের দিকে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকা আমার স্বভাবের বাইরে। এই মেয়ে আমাকে স্বভাবের বাইরে বের করে এনেছে।
‘সরি আপনি ভুল করছেন।’ ভ্যাবাচেকা খেয়ে উঠে দাঁড়ায় তরুণ। ’আমার নাম আরিফ না। ’
একই সাথে গুলি করলাম দুইজনে।
আমি দুইবার। ও একবার।
ওর দিকে তাকায় নীরব, ’মিথরাস। সিক্রেট সোসাইটি মিথরাসের নাম শুনেছে এখানে কেউ?’
সুন্দর চুলগুলো দোলায় প্রিয়াংকা, ’আমি শুনেছি। সূর্যদেবতা। তাই না?’
আড়চোখে একবার স্নিগ্ধকে দেখে উজ্জ্বল। ছেলেটা এক ওয়াক্ত নামাজও মিস দিত না একসময়।
এখন সে আলকেমি ছাড়া কিছু বোঝে না।
কিচ্ছু না।
আমার ব্যাগটা কাঁধে নেওয়া মানুষটা একজন ষাঁড়।
তবে গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর প্রত্যেকে দেড়জন ষাঁড়। কিন্তু তৃতীয়জন, এঁদের দলনেতা লোকটি বেশ প্যাকাটি গড়নের। প্যাকাটিটা সামনে আসল।
মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করলাম।
প্রথমে ফয়সালের হাতের নার্ভ অনুভব করার চেষ্টা করলাম।
নেই।
স্বপ্ন কিছুতেই সত্যি হতে পারে না। ভাবনা থেকেই স্বপ্নের জন্ম। নিজেকে নিজেই আজ পঞ্চাশবারের মত বোঝায় ইমতিয়াজ।