আমার ব্যাগটা কাঁধে নেওয়া মানুষটা একজন ষাঁড়।
তবে গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর প্রত্যেকে দেড়জন ষাঁড়। কিন্তু তৃতীয়জন, এঁদের দলনেতা লোকটি বেশ প্যাকাটি গড়নের। প্যাকাটিটা সামনে আসল।
মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করলাম।
প্রথমে ফয়সালের হাতের নার্ভ অনুভব করার চেষ্টা করলাম।
নেই।
বাবা-ই শিখিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “অস্ত্র আমি ঘৃণা করি। তবে ব্যবসায়ীর ছেলে হিসেবে তোকে এই বাজে জিনিসটা শিখিয়ে রাখাই ভালো। নানা দিকে শত্রু। এদেশে খেটেখুটে কিছু করবি, তাতে শান্তি নেই। অন্যরা চেষ্টা করবে মুফতে তা নিয়ে যেতে!”
লাশটার দিকে কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাফা।
বিশ্বাসঘাতকটাকে দেখে ওর ভেতরে কোন অনুভূতি আসার কথা না। আসেওনি। কিচেন নাইফটা বুকে আমূল ঢুকিয়ে দিতেই ধড়মড় করে পড়ে গেল শিশির। হাত বাড়িয়ে কিছু একটা ধরতে চাইছিল বোধহয়। প্রবল ঘৃণায় এক পা পিছিয়ে এসেছিল রাফা।